বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
খেলাধুলা ডেক্স, সারাবাংলা:
শুরুটা যে এতটা খারাপ হবে তা বোধহয় কাতারও কল্পনা করেনি। প্রথমবার বিশ্বকাপ আয়োজন করে স্বাগতিক দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে কাতার। কিন্তু স্বাগতিক দেশের ইতিহাস অক্ষুণ্ণ রাখতে ব্যর্থ হলো মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে স্বাগতিক দেশ হিসেবে ১ম ম্যাচ পরাজয়ে কাতার। ইকুয়েডরের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে ০–২ ব্যবধানে হেরেছে কাতার।প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলায়, প্রথমে হার দিয়ে শুরু করলো কাতার। প্রথমার্ধে খেই হারানোর পর দুই গোল। ২ গোলে হারেন কাতার।রোববার রাতে আল রায়ত স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের কাছে কাতার হেরেছে ২-০ গোলে। এই হারে একটি নিয়মও মেনে চলতে ব্যর্থ হলো কাতার। ২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর গত চার আসরে উদ্বোধনী ম্যাচ হারেনি স্বাগতিকরা, একরকম নিয়মই হয়ে দাঁড়িয়েছিল এটি। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই উল্লাসে ফেটে পড়ে ইকুয়েডর শিবির। গোল করে ফেলেন তাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফুটবলার ইনার ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু তাদের উৎসব একটু পরই হয়ে যায় বিষাদ। এই বিশ্বকাপে নতুন করে আসা ‘সেমি অটোমেটেড অফসাইড’ প্রযুক্তিতে বাতিল হয়ে যায় গোলটি। তবে ওই ব্যথা ভুলে দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে ইকুয়েডর। ফলও ধরা দেয় তাদের হাতের মুঠোয়। ১৫তম মিনিটে এসে বল নিয়ে স্বাগতিকদের বক্সের ভেতর ঢুকে যান ভ্যালেন্সিয়া। এসময় তার পায়ে হাত লাগান কাতারের গোলরক্ষক সাদ আল সাহাব। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, সঙ্গে দেখান হলুদ কার্ড। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি ভ্যালেন্সিয়া। এরপর দ্বিতীয় গোলের দেখা ৩১তম মিনিটে এসে পায় ইকুয়েডর। এবারও তাদের হয়ে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। সাইকাদোর বাড়ানো দারুণ ক্রসে অসাধারণ হেডে জালে জড়ান বল। ম্যাচ যেন পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চাপ অব্যাহত রাখে ইকুয়েডর। ৫২ মিনিটে প্রেসিয়াডোর শট গোলবারের সামান্য ওপর দিয়ে চলে যায়। ৫৫ মিনিটে মেন্ডেজের করা শট দুর্দান্ত ভঙ্গিমায় রুখে দেন কাতার গোলরক্ষক আল সায়েব। ৭৫ মিনিটে কাতারের আফিফের ২২ গজ দূর থেকে করা শট গোলবারের সামান্য ওপর দিয়ে চলে না গেলে ১ম গোলের দেখা পেতো দলটি। ম্যাচের শেষ দিকে গোল শোধের প্রচেষ্টা চালালেও স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় আর গোল পায়নি কাতার। ফলে ০-২ ব্যবধানের হার নিয়েই বিশ্বকাপ শুরু করে কাতার।পুরো ম্যাচে রেফারি মোট ৬ বার হলুদ কার্ড দেখান দুই দলের খেলোয়াড়দের যা কি না ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপের বলিভিয়া ও জার্মানির উদ্বোধনী ম্যাচের ৭টি হলুদ কার্ডের পর সর্বোচ্চ। কাতারের এই হারে স্বাগতিক দেশের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত থাকার ধারা ক্ষুণ্ণ হলো। এর আগের ২২টি ম্যাচে স্বাগতিকরা ১৬টি জয় এবং ৬টি ড্র করেছিল তাদের প্রথম ম্যাচে।